যশোরের শার্শার ১০টি ইউনিয়নে সংঘর্ষ ভাংচুর ভোট বয়কটে মধ্যে দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্টিত হয়েছে। শার্শার ৮ নং বাঁগাআচড়া ইউনিয়নে নৌকা মার্কার প্রার্থী ইলিয়াস কবির বকুল সকাল থেকে নিজ বাড়ীতে অবরুদ্ধ রয়েছে। আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল খালেকের সমার্থকরা তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে।তিনি নিজের ভোট দিতে পারিনি বলে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন।
রবিবার দুপুরে নিজ বাড়ীতে সাংবাদিকদের কাছে ভোট বয়কটের ঘোষনা দেন। অপর দিকে বাঁগাআচড়া ছোট কলোনী কেন্দ্রে (আওয়ামীলীগে বিদ্রোহী) সতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল খালেক প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর জখম হয়েছে বলে জানাগেছে।
এর আগে শনিবার রাতে উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের রুদ্রপুর গ্রামের দুই ইউপি সদস্য প্রার্থী সমর্থকদের সংঘর্ষে কুতুব উদ্দিন (৪০) নামে একজন নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছে ১৩ জন। নিহত কুতুব উদ্দিন রুদ্রপুর গ্রামের মহিউদ্দীনের ছেলে।
এছাড়া উপজেলার ডিহি ইউনিয়নে শালকুনা দু'গ্রুপের সংঘর্ষে ৩জন আহত, পুটখালী ইউনিয়নের শিকড়ী মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৪জন আহত, বাঁগাআচড়ার কলোনি কেন্দ্রে ৩ জন আহত ও ঘরবাড়ি ভাংচুর, বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ঘিবা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪জন আহত ও ডুপপাড়া কেন্দ্রে ৩জন সতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী আহত। নিজামপুর ইউনিয়নে গোড়পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সতন্ত্র প্রার্থীর সমার্থক পিতা, পুত্র সহ ৩জন আহত হয়েছে। উপজেলা ১০ টি ইউনিয়নে কম বেশি সংঘর্ষ, ভাংচুর ও আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
গোগা ইউনিয়নের বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায় নৌকার পোলিং এজেন্ট পাওয়া যায়নি। তবে প্রসাশন তাদেরকে সহযোগীতা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন নৌকার প্রাথী আব্দুর রশিদ।তবে অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রে
পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারের উপস্থিতি অনেক বেশী ছিল।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলিফ রেজা জানান, সকাল থেকে শার্শার ১০ টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণ ভাবেই ভোট গ্রহন চলছে। এখনো পর্যন্ত কোথায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভোট গননা চলছিল।.
ডে-নাইট-নিউজ / মোঃ জসীম উদ্দীন, শার্শা উপজেলা প্রতি
আপনার মতামত লিখুন: